৮ জুলাই, ২০১৪ — বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বিভীষিকাময় দিন পার করে ব্রাজিল। মারাকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে স্বাগতিকদের ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে জার্মানি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে জার্মানরা। ১১ মিনিটে টমাস মুলারের গোলে শুরু হয় বিপর্যয়। এরপর একে একে গোল করেন ক্লোসা (২৩’), টনি ক্রুস (২৪’, ২৬’) এবং সামি কাদিরা (২৯’)। মাত্র ১৮ মিনিটের ব্যবধানে ৫ গোল হজম করে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো ব্রাজিল। গ্যালারির দর্শকরা তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন। ক্লোসার গোলটি তাকে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা বানায়, পেলের রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানি তাদের খেলার গতি কমিয়ে দেয়, সম্মান দেখায় প্রতিপক্ষকে। ৬৯ ও ৭৯ মিনিটে আন্দ্রে শার্লে আরও দুই গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ৭-০। শেষদিকে অস্কারের একমাত্র গোল ব্রাজিলের জন্য কিছুটা সান্ত্বনা এনে দেয়।
ম্যাচ শেষে জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলস বলেন, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস দেখায়নি, যেন প্রতিপক্ষ অপমানিত না হয়। জার্মানির এমন বিজয় বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় হিসেবে ইতিহাসে স্থান পায়।
এই হারের পর ব্রাজিলজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। ফুটবলে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এমন অপমানজনক পরাজয়ে গভীরভাবে ব্যথিত হয়। ‘সেলেসাও’ সমর্থকরা আজও এই ম্যাচকে স্মরণ করে এক বেদনার প্রতীক হিসেবে।